Date : 2024-04-26

অম্বুবাচীতে যে ৬টি নিয়ম পালন করলে আপনি সুখী হবেন…

ওয়েব ডেস্ক: পঞ্জিকা তিথি মেনে আষাঢ় মাসের সূর্য যেদিন থেকে মিথুন রাশির আর্দ্রা নক্ষত্রে প্রবেশ করে তখন থেকে নাকি ধরিত্রী দেবী ঋতুমতী হন। বার তিথি যাই থাক না কেন আষাঢ় মাসের সপ্তম দিন মানেই অম্বুবাচীর সূচনা। আর এই অম্বুবাচী তিথি নিয়ে হিন্দুদের মধ্যে আছে প্রচুর সংস্কার। এই সময় দেশ জুড়েই প্রায় বর্ষার আগমন হয়। সমস্ত ঋতু পার করে এই সময় পৃথিবী বর্ষার জলে সিক্ত হয়, তাই তাঁকে ঋতুমতী নারী হিসাবে গন্য করা হয়। ঋতুমতী নারী যেমন সন্তান ধারণে সক্ষম হয় তেমনই অম্বুবাচী তিথি চলে গেলে চাষ আবাদের কাজ শুরু হয়। অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন ভাবে এই তিথি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ভাবে পালন করা হয়। আর এই অম্বুবাচীকে কেন্দ্র করে মানুষের মনে রয়েছে বিভিন্ন সংস্কার।

১. এই সময় বিবাহের কাজ হয় না।

২. চাষ আবাদের কাজ বন্ধ রাখেন কৃষকরা।

৩. এই সময় জমি বাড়ি ক্রয়-বিক্রয় করা অথবা কোন শুভ কাজ শুরু করা হয় না।

৪. প্রাচীনকালে এই সময় রাজারা যুদ্ধে যেতেন না। তাই ধরা হয় অম্বুবাচীতে বিশেষ কাজে যাত্রাও নাস্তি।

৫. এই সময় সাপকে আঘাত করার ফল ভালো হয় না।

৬. অম্বুবাচীতে অনেকেই ফলাহার করেন। আগে বিধবাদের মধ্যে অম্বুবাচীর সময় আগুনে পুড়িয়ে, বা রান্না করে খাওয়া নিষেধ ছিল।

৭. এছাড়া শাস্ত্র মতে দেব যোনি এই সময় ঋতুমতী হয় তাই এই সময় অধিকাংশ দেবী মন্দিরে পুজোপাঠ বন্ধ থাকে।

শাস্ত্র মতে এই নিয়ম মানলে নাকি মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট থাকে না। তাই প্রচলিত বিশ্বাসের কারণে অনেকেই এই নিয়ম মেনে চলেন। যদিও সম্পূর্ণ বিষয়টি কাল্পনিক। একজন স্ত্রীর শরীরিক প্রক্রিয়াকে তুলনা করে মাতৃ জ্ঞানে প্রকৃতিকে আরাধনা করার একটি নিয়ম হল অম্বুবাচী পালন।