ওয়েব ডেস্ক: নীল আর্মস্ট্রংদের হাত ধরেই নাকি প্রথম মানব সভ্যতা প্রথম চাঁদে পা রেখেছিল। এরপর আর কোন দেশই সেই কীর্তি গড়তে উদ্যোগ নেয়নি। তার একটি বড় কারণ খরচ। মহাকাশযানের জ্বালানির অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ। অগত্যা গবেষকরা একটি এলিভেটার বা লিফটের বানানোর কথা ভাবছেন যার মাধ্যমে সরাসরি পৃথিবী থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে চাঁদে! না ঠিকই দেখেছেন, একতলা থেকে পাঁচতলা নয় সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যাবে চাঁদে।
তবে এই লিফট সাধারণ লিফটের থেকে কিন্তু একেবারেই আলাদা। এই এলিভেটরের এক প্রান্ত চন্দ্রপৃষ্ঠ এবং অপর প্রান্ত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে জিওস্টেশনারি কক্ষপথে সংযুক্ত থাকবে। ভূপৃষ্ঠ থেকে কোন মহাকাশযান এই লিফটের উপর চড়ে বসলেই হবে, এলিভেটর সোজা উপরে উঠতে শুরু করবে মহাকাশ যানটি নিয়ে। অনেকেই হয়েতো এতক্ষণে ভেবে নিয়েছেন অসম্ভব ব্যাপার, কিন্তু এটা যে সম্ভব তা প্রমাণ করে দিয়েছে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এই মহাকাশ-রেখা প্রোজেক্টে সামিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জেফির পেনোয়ির জানিয়েছেন, এই মহাকাশ রেখা আসলে একটি পরিকাঠামো গঠন করবে, ঠিক যেমন এক সময় রেলপথ করেছিল।
রেলপথের কারণে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহন যেমন সহজ হয়ে গেছিল তেমনই এক্ষেত্রে মহাকাশের ক্ষেত্রেও হবে। এরপর অবশ্য অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠবে ভূপৃষ্ঠ থেকে সরাসরি চাঁদ পর্যন্ত কেন এই লিফট তৈরি করা যাবে না? আসলে সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পৃথিবীর শক্তিশালী অভিকর্ষ বল। যেহেতু এই লিফটি তৈরি হবে ধাতব বস্তু দিয়ে তাই পৃথিবীর অভিকর্ষবলের কারণে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তা ছাড়া, কোনও কারণে যদি এই প্রকাণ্ড কাঠামোয় আঘাত লাগে তবে তা পৃথিবীর বুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে। মহাকাশে ক্ষতির প্রাবল্য অনেক কম অনুভূত হবে। কার্বন ন্যানোটিউব এই তৈরি করা হবে এই লিফটটি। তবে এটি তৈরি করা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। আপাতত পরিকল্পনার স্তরেই রয়েছে পুরো প্রকল্পটি।