Date : 2024-05-07

আসামবাসী আই.আই.টি.র এই কৃতি ছাত্র প্লাস্টিক কমাতে বানাচ্ছেন বাঁশের বোতল…

ওয়েব ডেস্ক: সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত, এই সারাদিনের রুটিনের মধ্যে কতবার প্লাস্টিকের ব্যবহার করেন হিসেব আছে কি? না থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

কারণ, প্লাস্টিক ছাড়া যেন আমাদের জীবনযাপন প্রায় অসম্ভবই বলা যায়। তবে চেষ্টা করলে কিন্তু বদলানো যায় যেকোনো স্বভাবই।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও অত্যাধিক প্লাস্টিকের ব্যবহারে আজ পৃথিবীর আবহাওয়া ও পরিস্থিতি যে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে তা নতুন করে বলার কিছুই নেই। আপনি আমি চেষ্টা না করলেও চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না অন্যান্য দেশগুলি।

আসামের ধৃতিমান বোরা এই প্লাস্টিক নামক দানবের হাত থেকে মুক্তি পেতে বানিয়েছেন বাঁশের তৈরি বোতল। হ্যাঁ, একদম ঠিকই পড়েছেন। আই.আই.টি. থেকে পাশ করা এই ধৃতিমান আসামের কোলে বসে বানাচ্ছেন বাঁশের তৈরি বোতল।

যা একেবারেই লিকপ্রুফ, কারণ এই বোতলগুলির মুখ খুবই শক্ত করে আটকানো বাঁশেরই ঢাকনা দিয়ে। ফলে এটি যেখানে খুশি সহজেই ক্যারি করা যাবে বিনাদ্বিধায়। শুধু তাই নয়, এইগুলি বাঁশের তৈরি হওয়ার ফলে তার ভেতরে থাকা জল সহজেই ঠান্ডা থাকবে।

ফলে প্রচন্ড রোদে গরমে এই ঠান্ডা জল আপনার শুধু তেষ্টাই মেটাবে না, সঙ্গে গরম থেকে শান্তিও দেবে।

ধৃতিমানের ইচ্ছে এই বাঁশ ও পাটের সাহায্যে এইভাবেই সে রোজকার ব্যবহৃত সমস্ত জিনিসকেই বানিয়ে পলেবে ইকোফ্রেন্ডলি। এই বোতলগুলির দাম ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে এই ধৃতিমানের মতো মানুষদের সহায়তাতেই এই পৃথিবী হয়ে উঠবে প্লাস্টিক-ফ্রি।