Date : 2024-04-27

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না দেখে বলা যায় খুন নাকি আত্মহত্যা? মিড ডে মিল অস্থায়ী কর্মী মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন হাইকোর্টের….

বীরভূম: স্কুলের হোস্টেলের ডাইনিং রুমে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল মিড ডে মিলের অস্থায়ী কর্মীকে। ঘটনাটি ঘটেছিল বীরভূমের ষাট পালসা হাইস্কুলে। ঘটনার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে বলেই জানিয়েছিল পুলিশ। যদিও মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক এবং পরিচালন কমিটির সদস্যর বিরুদ্ধে। ঘটনা জেরে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের আগাম জামিনের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, যেহেতু আত্মহত্যার ঘটনার প্রমাণ মিলেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এবং সেই মুহুর্তে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক তাই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে খুনের মামলা তাদের বিরুদ্ধে করা যাবে না।

প্রসঙ্গত, মৃত মিড ডে মিলের অস্থায়ী কর্মী প্রদীপ ভল্লা মৃত্যুর বেশ কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে সেই ভিডিওতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ,সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং প্রাক্তন পরিচালন কমিটির সম্পাদক এর বিরুদ্ধে তিনি মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ করেন। এমনকি তিনি আত্মহত্যারও হুমকি দেন ওই ভিডিওর মাধ্যমে। এরপরে ২০ জুন তাকে স্কুলের হোস্টেলে ডাইনিং রুমে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। স্কুলের আবাসিকরা ঘটনাটি ময়ূরেশ্বর থানায় জানায়। খবর পেয়ে প্রদীপ ভল্লার স্ত্রী শংকরী ভল্লা থানায় গিয়ে তার স্বামীর মৃত্যুকে আত্মহত্যার বদলে খুন বলে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রদীপবাবুর স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে রভূমের ষাট পলসা হাই স্কুলের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কালি সাধন মন্ডল, সহকারি প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু মন্ডল এবং স্কুল পরিচালন কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক অশোক মন্ডলের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা দায়ের করে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ। এর ভিত্তিতে সিউড়ি নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করতে গেলে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তিন অভিযুক্ত। এর ভিত্তিতেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতির জয় সেনগুপ্ত ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দেয়।