ওয়েব ডেস্ক : ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-র হাতে এসেছিল কয়েকখানা ফটো। মা দেখে মেয়ে নিমিষাকে চিনতে পারলেন। যদিও সে এখন আর নিমিষা নেই। তার নাম ফতিমা। ২০১৬ সাল থেকে তার খোঁজ মেলেনি। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির গোয়েন্দারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, নিমিষা ওরফে ফতিমা আফগানিস্তানে পৌঁছেছে। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের ঘাতকদের দঙ্গলে যোগ দিতে। গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে প্রায় ৯০০ ইসলামিক স্টেট অনুগামী সপরিবারে ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে দশজন ভারতীয়। বেশিরভাগই কেরলের বাসিন্দা। নিমিষা ওরফে ফতিমাও কেরলের মেয়ে। সোমবার এনআইএ-র অফিসাররা তিরুবনন্তপুরমে নিমিষার মা বিন্দু সম্পতকে মেয়ের ছবি দেখান। ছবি দেখে বিন্দু জামাই বেক্সেন ওরফে ইশাকে যেমন চিনেছেন, তেমনই চিনতে পেরেছেন তাঁর নাতনিকে।
ফটোয় বিন্দু দেখতে পান, নাতনিকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে নীল বোরখা পরিহিত এক রমণী। সে-ই ফতিমা ওরফে নিমিষা। ২০১৬ সালের মে মাসে নিমিষা নিখোঁজ হয়ে যায়। কাসারাগোড়ের ডেন্টাল কলেজে গ্র্যাজুয়েশন করছিল সে। পরে, নিমিষা তার পরিবারকে জানায়, বেক্সেন নামে এক এমবিএ গ্র্যাজুয়েটকে সে বিয়ে করেছে। আর মুসলমান ধর্ম নিয়েছে। সিরিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেক্সেন আর নিমিষা আফগানিস্তান পৌঁছায়। তারা যখন দেশ ছাড়ে তখন নিমিষা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিন্দু জানিয়েছেন, “গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত আমি আমার মেয়ের মেসেজ পেয়েছি। আমাকে নাতনির ছবিও পাঠিয়েছে। সে কারণেই আমি নাতনিকে আইডেন্টিফাই করতে পেরেছি। বেক্সেনকেও চিনতে অসুবিধা হয়নি।
তবু তার মায়ের সঙ্গে আমি বেক্সেনের ছবি ভেরিফাই করি। তিনি আমার সঙ্গে একমত।” তবে আইডেন্টিফিকেশন প্রক্রিয়া এখনও চলছে। বিন্দু সম্পত ফ্যামিলি আইডেন্টিফিকেশন ডিটেলস এনআইএ-কে দিয়েছেন। নাতনিকে নিয়ে মেয়ে-জামাই দেশে ফিরুক, বিন্দু সম্পতের এটাই কামনা। কিন্তু কী করে তারা মুসলমান ধর্ম নিয়ে আইএসে ভিড়ে গেল, সে প্রশ্নে এখনও তাঁর বিভ্রান্তি ঘোচেনি।