Date : 2024-04-26

একই স্কুল, একই পদ, নিয়োগ প্রার্থী দুই,স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে মামলা

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার: রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠলো কলকাতা হাইকোর্টে।কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকরির অরিন্দম মিত্রের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান ২০১৬ সালে গ্রুপ সি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
২০১৯সালের ২০ই ডিসেম্বর রেকমেন্ডেশন লেটার ইস্যু করেন এসএসসি। তারই ভিত্তিতে ২০২০ সালে রাজ্যের মধ্য শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে আবেদনকারী অরিন্দম মিত্র কে পূর্ব মেদিনীপুরের শ্রীরামপুর এগ্রিকালচার হাইস্কুলে চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়।
করোনা অতিমারীর কারণে অরিন্দম বাবু নিয়োগ পত্র পেয়ে স্কুলে যোগাযোগ করলে তাঁকে স্কুল কতৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয় স্কুল বন্ধ রয়েছে,খোলার পরে যোগাযোগ করবেন।
এর পর বারংবার স্কুলের সাথে,জেলা স্কুল পরিদর্শক, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং পর্ষদের কাছে লিখিত আবেদন জানানোর পরেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি তাঁরা।
স্কুল খোলার পর অরিন্দম বাবু স্কুলে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান গ্রূপ সি পদে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মনোনীত অপর এক প্রার্থীকে নিয়োগ করে ফেলেছেন।
বিষয়টি শিক্ষা দফতরের নজরে আনলেও কোন সুরাহা হয়নি।
আবেদনকারীর আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধরী জানান গ্রুপ সি পদে যে নিয়োগ দুর্নীতি আরো একটি মামলাতে আবেদনকারী অরিন্দম মিত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই মামলায় মামলাকারীর সাবিনা ইয়াসমিন পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যা প্যানেলের লাইফটাইম পার হয়ে যাওয়ার পর।যেখানে আবেদনকারী অরিন্দম মিত্রকে সেখানে দেখানো হয়েছে তিনি নিয়োগ হয়ে হয়েছেন তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের শ্রীরামপুর এগ্রিকালচার হাইস্কুলে।
সেখান থেকে তিনি বেতন পাচ্ছেন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ই জানুয়ারি স্কুল সার্ভিস কমিশন কে জানাতে হবে যাঁদের নিয়োগপত্র চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে তাঁরা তালিকাভুক্ত ছিলেন কিনা? কোন পদ্ধতিতে তাঁরা চাকুরি পেলেন তাও জানানোর নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।