Date : 2024-04-26

সান্তার আড়ালে কৃষ্ণ বৈরাগী

শাহিনা ইয়াসমিন, রিপোর্টার : করোনা মহামারীর কারণে গতবছর কলকাতা সহ গোটা দেশে সব উতসবের ছন্দপতন ঘটেছিল। বড়দিনে গিফটের ঝোলা কাঁধে বেরোনো হয়নি কলকাতার সান্তা বুড়োর। তবে এবছর কচিকাঁচাদের আনন্দ দিতে ও নিজে আনন্দ পেতে ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন সান্তাবুড়ো।
লাল জোব্বা, লাল প্যান্ট, লাল টুপি তার সঙ্গে লাল ঝোলা। যার মধ্যে রয়েছে নানা উপহার আর সেই সঙ্গে রকমারি চকলেটও। বড়দিনের আগে কলকাতার সান্তাবুড়ো ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন রাস্তায়। কচিকাঁচাদের আনন্দ দিতে। সাদা চুল ও দাড়ির আড়ালে কে এই সান্তাবুড়ো? নাম কৃষ্ণ বৈরাগী। একজন শিল্পী। প্রতিবছর সান্তাবুড়ো সেজে বেরিয়ে পড়েন তাঁর ছোটো ছোটো বন্ধুদের জন্য। তবে কোভিডের কারণে গতবছর সেভাবে বেরোতে পারেননি তিনি। করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় এবার কলকাতা মেতেছে বড়দিনে। তাই কলকাতার সান্তাবুড়ো অর্থাত কৃষ্ণ বৈরাগীও সান্তা সাজতে ব্যস্ত। মুখের মেকআপ। নকল সাদা চুল, দাড়ি লাগিয়ে, লাল জোব্বা পড়ে সেজেগুজে বেরিয়ে পড়লেন কৃষ্ণ বৈরাগী। তাঁর সেই লাল ঝুলির মধ্যে নিয়েছেন চকোলেটের সঙ্গে গিফটও। যেসব শিশুদের কাছে বড়দিনের সান্তাবুড়ো পৌঁছাতে পারেন না। বড়দিনের মাহাত্যই জানেনা যে সব শিশু, সেই সব শিশুদের হাতে তুলে দিলেন গিফ্ট, চকোলেট। এই আনন্দ শুধু এই শিশুদেরই নয়। এই আনন্দ কৃষ্ণ বৈরাগীর নিজেরও।

কৃষ্ণ বৈরাগী নিজে একজন সাধারণ শিল্পী। শিল্পকে আকড়ে ধরেই তাঁর বেঁচে থাকার লড়াই। শুধু যে সান্তা সাজেন তা নয়, তিনি বহুরূপী। বিভিন্ন সময়ে মনী-ঋষিদের সাজ সেজে অর্থ উপার্জন করেন তিনি। যতসামান্য পারিশ্রমিকেই তাঁর দিনগুজরান হয়। বড়দিন এলে সান্তা, যীশু সেজে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। করোনার জন্য বড়দিনের কাজে ভাটা পড়েছিল গত বছর।
কলকাতার বুকে এমন অনেক সান্তাক্লজ আছেন যারা সান্তা সেজে রোজগারের আশায় বেরিয়ে পড়েন। ভিড়ের মাঝে ছোট-বড় সকলের মুড বদলাতে এগিয়ে আসেন এই সান্তাক্লজেরা। তবে কৃষ্ণ বৈরাগী এমন এক সান্তাক্লজ যিনি নিজের গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে ছোটদের হাতে উপহার চকোলেট দিয়ে আনন্দ দিয়ে থাকেন।