Date : 2024-04-26

পুজোয় সরকারি অনুদান নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : পুজো কমিটি গুলোকে অর্থ সাহায্যের সিধান্ত রাজ্যের। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা। মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ। আবেদনকারীর দাবি এতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে রাজকোষ থেকে। মামলা দায়েরের অনুমতি দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

আবেদনকারী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী কাউন্সিলের বক্তব্য কলকাতার ২৭০৬ টি সার্বজনীন পুজো নিয়ে রাজ্যে মোট সার্বজনীন পুজোর সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। প্রায় ১৭০০ টি মহিলা পরিচালিত পুজো রয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জানিয়েছিলেন এই উৎসবটা আমাদের সবার। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
পাশাপাশি সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব ক্লাবগুলোর।
অনেকে অনেক বড় বড় কথা বলেন কলকাতায় দুর্গাপুজো করতে দেয় না, স্বরস্বতী পুজো করতে দেয় না। আমি বলি কলকাতায় যেমন দুর্গাপুজো হয় সারা বিশ্বে তেমন হয় না।

৪৩ হাজার রেজিস্টার্ড পুজো কমিটি আছে। তাছাড়াও বাড়ির পুজো, পল্লীর পুজো ছোটো ছোটো পুজো আছে।এবারের পুজো টা স্পেশাল হবে কি হবে না ?
দূরন্ত হবে না কি দূর্দান্ত হবে ? অনেক বিদেশি আসবে এবার আপনাদের পুজো দেখতে।
২১,২২,২৩ সেপ্টেম্বর বাইরে থেকে একটা টিম আসবে কিভাবে পুজোর প্রস্তুতি হয় সেটা দেখার জন্য।একটার পর একটা কম্পিটিশন হবে এবার। সবাই নিজের নিজের পাড়ার এলাকা সাজিয়ে তুলুন আলোর মালায়।

১ সেপ্টেম্বরের মিছিলে আমরা ইউনেস্কো কে ধন্যবাদ জানাবো।‌ এবারের মিছিল কিন্তু কোনো রাজনৈতিক মিছিল নয়। দুটোর সময় জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সামনে জমায়েত হবো। সব পুজো কমিটিকে বলবো আপনারা আপনাদের ইচ্ছা মতো বিষয় ঠিক করে নিয়ে মিছিলে আসবেন। প্রয়োজনে অফিসে আগে থেকে বলে রাখবেন যাতে অফিসের ছুটি পাওয়া যায়, এমনকি স্কুলের থেকেও যদি আগে থেকে ছুটি পাওয়া যায় সেটা দেখে নেবেন। মিছিল শেষে রানী রাসমণি রোডে একটা সভা করা হবে।
ওইদিনের সাক্ষী থাকার জন্য স্কুল দফতর কে বলবো দশ হাজার ছাত্রছাত্রী নিয়ে আসতে।
ইউনেস্কো কে আমরা ওইদিন সম্বর্ধনা দেবো।

জেলাশাসকদের বলছি কলকাতার মতো প্রতি জেলায় এক‌ই ধরনের মিছিল করতে হবে।
৪০,০৯২ টি মোট পুজো। যার মধ্যে ২১৪১ টি মহিলা পরিচালিত পুজো। কলকাতার পুজো ২৭০০ মতন।
৭ই অক্টোবরের মধ্যে বিসর্জন করবেন।৮ই অক্টোবর কলকাতার কার্নিভাল করা হবে।
৯ই তারিখ নবি দিবস ও লক্ষী পুজো একসঙ্গে পড়েছে।পুজো করতে গেলে খরচ আছে। আমায় কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। এবার আপনারা আমায় টাকা দেবেন।
কম টাকাতেও ভালোভাবে পুজো করা যায়।
এমনভাবে করবেন যাতে কোনো রকম দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা না ঘটে।
এবার আমি আসি আমার ক্ষুদ্র ক্ষমতায়।
পুজো শুরু হচ্ছে মহালয়ার আগের দিন থেকে।বিদ্যুতের বিল আগের বার নিয়েছিলো পঞ্চাশ শতাংশ। আমি সিইএসসি ও স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডকে বলছি ছাড়টা পঞ্চাশ এর জায়গায় ষাট শতাংশ দিতে।
গত বার দিয়েছিলাম পঞ্চাশ হাজার। আমার কাছে কিন্তু নেই, ভাড়ার শূণ্য। মা দূর্গা আমাদের ভাড়ার ভরে দেবেন আশা করি। এবার পঞ্চাশ হাজার টাকাটা ষাট হাজার করে দিলাম।
দুর্গাপুজোকে মহিমান্বিত করে বোর্ড করা হবে। তথ্য সংস্কৃতি দফতরকে বলছি একটা বোর্ড তৈরি করে সব পুজো কমিটিকে দিতে যেখানে ইউনেস্কো কে ধন্যবাদ জানানো হবে।
কুৎসা অপপ্রচারে যাবেন না, কিছু মানুষ সকাল থেকে বসে থাকে আর কুৎসা করে। ওদিকে তাকাবেন না। মা দূর্গার দিকে তাকান।

চলতি সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবস্তাব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।