Date : 2024-04-26

বিরোধী দলনেতার রক্ষাকবচ চ্যালেঞ্জ, প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : শুভেন্দু অধিকারীর মামলায় একপেষে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ! অভিযোগ তুলে ডিভিসন বেঞ্চে দ্বারস্থ আইনজীবী। সোমবার মামলাকারীর আবু সোয়েলের বক্তব্য নন্দকুমার থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তিনি অন্যতম পক্ষ ছিলেন। অথচ তাঁর বক্তব্য না শুনেই রায় দিয়েছে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। বিরোধী দলনেতারতথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব এফআইআরে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থা। আদালতের অনুমতি ছাড়া নতুন এফআইআর দায়ের করা যাবে না বলেও নির্দেশে দেন তিনি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই প্রধান বিচারপতির তোমার কি মনে হয় ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ আবু সোহেল।

মামলার বয়ান অনুযায়ী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।তার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত করেছে। তার পক্ষ কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী আবু সোহেল। সোমবার ডিভিশন বেঞ্চে তিনি দাবি করেছেন তাঁর অনুপস্থিত এবং বক্তব্য না শুনে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা ।যেকারণে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি।

চলতি মাসেই হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চর বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে যে ২৬টি এফআইআর দায়ের হয়েছে তাতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। ৯ই ডিসেম্বর শুক্রবার বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা নির্দেশ দেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কোন এফআইআর করতে গেলে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হবে।
পাশাপাশি বিরোধী দলনেতার সব আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারে না আদালত, মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি। পুলিশ নিজে অথবা একদল মানুষের প্ররোচনায় একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি তাঁর যে কর্তব্য তা স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। প্রসঙ্গত, তৃণমূল ও বিজেপির দুই হেভিওয়েট নেতা প্রতিপক্ষের গড়ে সভা করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল কাঁথিতে অধিকারীদের বাড়ি শান্তিকুঞ্জের অদূরে। একই দিনে ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। বলা হয়, ডায়মন্ড হারবারের লাইট হাউস মাঠে শুভেন্দুর সভা হবে। তবে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, শব্দবিধি মেনে সভা করতে হবে, সাধারণ মানুষের অসুবিধা করা যাবে না।

সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছেন আবু সোহেল।চলতি সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা।