Date : 2024-04-26

নবান্নের নির্দেশ মানছেন না জেলাশাসক। সরকার চাকরি দিলেও মানতে নারাজ জেলাশাসক। হাইকোর্টের দ্বারস্থ চাকুরীজীবিদের একাংশ।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : বাংলার সহায়তা কেন্দ্রের ৮চাকরিজীবী তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাদের অভিযোগ ২০২০ সালে বাংলার সহায়তা কেন্দ্রের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার বলে ছিল কর্মরত অবস্থায় ৬০ বছর পর্যন্ত কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে না। কিন্তু জেলাশাসক চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন।

গত ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে বিচারপতি শম্পা সরকার নির্দেশ দেন মালদা জেলা শাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। ২৩শে নভেম্বর ২০২২সালে জেলা শাসক জানায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন এক্তিয়ার নেই। অথচ বিষয়টিকে নবান্নের সাথে আলোচনা না করেই জেলাশাসক জানিয়েছেন যাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা ১৬ই অক্টোবর ২০২০ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তাদের নিয়োগ করা হয়নি। অথচ তাদের নিয়োগপত্রে ১৬ই অক্টোবর ২০২০ এর বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে বলেই উল্লেখ করা রয়েছে।

২৪শে জানুয়ারি ২০২৩ সালে বিচারপতি শম্পা সরকার মালদা জেলাশাসকের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হন। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মুখ্য সচিবের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেন। এ বিষয়ে কোনো রিপোর্ট তারা আদালতে জমা দেননি। এরপর বিচারপতি পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের সেক্রেটারি কে নির্দেশ দেন রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চাকরিজীবীরা তারা এ সুযোগ পাবে না কেন।

এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন মামলাকারী প্রসেনজিৎ মল্লিকসহ ৮জনের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান রাজ্য সরকারের এক দপ্তরের সিদ্ধান্ত আর এক দপ্তর মানতে চাইছেন না । শুধু তাই নয়, মালদা জেলাশাসক যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্ষমতা নেই বলে লিখিতভাবে স্বীকার করেছেন। অথচ মামলাকারীদের নিয়োগ বাতিল করেছেন স্বয়ং জেলা শাসক নিজেই। রাজ্য সরকারের যেখানে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ করেছেন সেই নিয়োগের বৈধতা নিয়ে জেলাশাসক প্রশ্ন তুলছেন।রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে কোন হস্তক্ষে করতে পারেন না জেলা শাসক। একমাত্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মুখ্য সচিবের। সুতরাং জেলা শাসকের এই সিদ্ধান্ত আইনত অবৈধ।

বিচারপতি শম্পা সরকার নির্দেশ দেন অবিলম্বে এই ৮ জন চাকরিজীবীর বরখাস্ত জেলাশাসক করেছেন, সে বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের পুনরায় নিয়োগ করতে হবে।।