শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক : কথায় আছে – যো হিট ওয়হি ফিট।
শাখা মূলত বানানো হয় সামুদ্রিক শঙ্খ থেকেই । শাঁখা কেন পড়ে বলতে গেলে বলা যায়, সাধারণত বাঙালি হিন্দু বিবাহিত নারীদের বিবাহিত জীবনের চিহ্ন এই শাঁখা। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, সিঁদুর,শাঁখা- পলা ছাড়া বিয়ে অসম্পূর্ণ। প্রাচীন যুগ থেকে চলে আসছে এই রীতি নীতি। যা এখনও পর্যন্ত অনুসরণ করা হয়।
একটা সময় সরু শাঁখার চল ছিল প্রচুর। বর্তমানে সরু শাঁখার পাশাপাশি মোটা শাঁখার ফ্যাশন শুরু হয়েছে। এই ধরনের মোটা শাঁখা পড়া যায় পলার সঙ্গে। আবার পলা ছাড়াও পরতে পারবেন। সঙ্গে থাকতে পারে অন্য কোনো বালা বা চুড়ি।
চাকরিজীবী মহিলাদের মধ্যে একাংশ শাঁখা পড়েন না। আবার অনেকই রীতি নীতিতে বিশ্বাসী। তাই যারা বাঁধানো শাঁখা পড়তে ভালোবাসেন, কিন্তু শাঁখা ভেঙে যাওয়ার ভয়ে পড়তে পারেন না তাদের জন্যেই প্লাস্টিকের শাঁখা হলো বিকল্প পথ।
হস্তীমুখী, মকরমুখী, ময়ূরমুখী নকশার শাঁখা বেশ মানানসই। নিজের পছন্দমত নকশা দিয়ে বানাতে পারেন। এখন সোনার দোকানে বিভিন্ন নকশার শাঁখা পাওয়া যাচ্ছে। সোনা দিয়ে তৈরি করা টা খরচা সাপেক্ষ। তবে সোনার জল করা শাঁখাও চাইলে পেতে পারেন।
শাঁখার নকশায় মিলবে ভিন্নতা। বিভিন্ন নামও আছে, যেমন – বেকি, কঙ্কন, বেণী,শঙ্খপাতা, ধানছড়া, দড়িবান, বাজগিট্টু, পানবোট,লতাবলা,জলফাস ইত্যাদি।
তবে স্টাইলের দিক থেকে দেখলে শুধু যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মহিলারা শাঁখা পড়েন তা কিন্তু নয়, অন্য মহিলারাও ফ্যাশন হিসেবে এক হাতে শাঁখা পড়ছেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় হাতে মেহেন্দি করা এখন একটা সম্প্রদায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এখন বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে মেহেন্দি মাস্ট।