ওয়েব ডেস্ক: মরুভূমির বুকে চলতে গিয়ে তৃষ্ণার্ত পথিক প্রায়ই মরীচিকার সম্মুখীন হয়েছেন। তৃষ্ণার্ত মানুষকে আশা দিয়ে গায়েব হয়ে গেছে আদপে অবাস্তব আলোর প্রতিফলন। মরুভূমির বুকে সত্যিই মরুদ্যান জেগে থাকে পথিকের তৃষ্ণা নিরারনে, তবে সব মরুদ্যানের জল পান যোগ্য হবে এমনটাও নয়, আবার গাছপালা ঘোরা মরুদ্যানে যে জল পাওয়া যাবেই এমনটাও নয়। রহস্যে ঘোরা এমনই এক মরুদ্যানের সন্ধান পেয়ে যাবেন কাতারের মরুভূমিতে চলতে চলতে। ধু ধু মরুভূমির বুকে চলতে চলতে দেখবেন, ছোট ছোট ঘরবাড়ি ঘেরা, পাঁচিল ঘেরা ছোট্ট একটা জনবসতি যেন দাঁড়িয়ে আছে মরুভূমির বুকে আপনাকে স্বাগত জানাতে। সাবধান, মরুভূমির বুকে দাঁড়িয়ে থাকা এই জনবসতি রহস্যময়। এই স্থানে ঢুকলে যে কোন ঘটনা ঘটতে পারে আপনার সঙ্গে। অনেকে হয়তো ভাববেন এমন আজব জায়গা আবার হয় নাকি! কাতারের জেকরিট পেনিনসুলা মরুভূমিতে রয়েছে এমনই এক ফিল্ম সিটি। দূর থেকে মনে হবে, আরবের কোন প্রাচীন গ্রাম দাঁড়িয়ে আছে এখানে, কিন্তু গ্রামে নেই কোন মানুষ। কাছে গেলে মনে হবে ছবির শ্যুটিং-এর সেট ফেলা হয়েছে। এই জায়গা নাম দেওয়া হয়েছে ফিল্ম সিটি। ফিল্ম সিটির মধ্যে ঢুকলে মনে হবে, কোন ভৌতিক ছবির ঘোস্ট টাউনে প্রবেশ করলেন। চারপাশে নেই কোন মানুষ, অথচ ঘর-বাড়ি, মসজিদ, ফাঁকা পড়ে আছে। নারকেলগাছে সাজানো আরবের প্রাচীন গ্রামের স্থাপত্যের নিদর্শন পাবেন এই স্থানে। অনেকেই মনে করে কাতারের সরকারের উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে এই প্রাচীন আরব্য নগরটি। ফিল্ম সিটি হিসাবে দর্শক টানতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাতারের সরকারি তরফে অবশ্য এই দাবি মেনে নেয়নি। অনেকে ভাবেন ২০২২ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের থিম সঙ শ্যুটের জন্য এই স্থানটি বানিয়েছে কাতার সরকার। তবে বানানোর উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, দর্শনার্থীদের জন্য এটা দারুণ এক রোমাঞ্চকর জায়গা। প্রতিবছর কাতারে বেড়াতে যাওয়া টুরিস্টরা অন্তত একবার হলেও চেষ্টা করেন ফিল্ম সিটি থেকে ঘুরে আসার। সারা বছর নির্জন ভুতের শহরের মত পড়ে থাকলেও অন্তত এই সময় সরব হয়ে ওঠে কাতারের ফিল্ম সিটি।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.