Date : 2024-05-10

জলশঙ্কটের বিশ্বে পাখীদের পানীয়জলের ব্যবস্থা করে নজির গড়ল এই মরু শহর….

ওয়েব ডেস্ক: শুধু ভারতের চেন্নাই শহর নয়, বিশ্বজুড়ে আগামী ৪ বছর পানীয় জল শঙ্কট চরম আকার ধারন করতে পারে তা ইতিমধ্যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ইউনিসকোর পক্ষ থেকে।

বিশ্ব উষ্ণায়ণের সবচেয়ে বড় বিপদের মুখে পড়তে চলেছে মানব সভ্যতা। পৃথিবীর ৭০ শতাংশ জলের পরিমান হলেও পানীয় জলের পরিমান মাত্র ৩ শতাংশ। একই সঙ্গে খরা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে জলের অভাবের কারণে।

ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ের জলসঙ্কটের পর সেই তালিকায় একে একে নাম লেখাচ্ছে বেঙ্গালুরু, সাও পাওলো, বেজিং, কায়েরো, জাকার্তা সহ বেশ কিছু শহর। জলশূন্য হওয়ার দৌড়ে এই শহরগুলি এগিয়ে রয়েছে ইতিমধ্যেই। এই অবস্থা যদি হয় অন্যান্য শহরগুলির তবে মরু শহরের চিত্রটা অবশ্যই আরও করুণ।

আরও পড়ুন: বয়ফ্রেন্ডের ক্রেডিট কার্ড থেকে দিলেন ৪ লক্ষ টাকা টিপস, গ্রেফতার মহিলা

ফলে মানুষের পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জীব-জগত। হাজার হাজার টাকার বিনিময় পরিশ্রুত জল পান করতে পাড়ছে মানুষ, কিন্তু পশুপাখিদের বিপদ ক্রমশ বাড়ছে। পানীয় জলের অভাবে পশুপাখীর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লে নষ্ট হবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য।

আর সেই বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে এবার পথ দেখালো সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। সেখানে সমুদ্রের জলের থেকেও নবনাক্ত ভূগর্ভস্থ জল। তাই সমুদ্রের জলকে প্রচুর অর্থমূল্যের দ্বারা পরিশোধিত করেই এখানে পানের উপযোগী করতে হয়।

তাই এই অঞ্চলের মানুষকে অনেক টাকা খরচ করেই জল কিনে খেতে হয়। তবে পাখীর পক্ষে টাকা খরচ করে পানীয় জল কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। পরিবেশে পক্ষীকুলকে বাঁচিয়ে রাখতে তাই অভিনব পরিকল্পনা করল সংযুক্ত আরব আমির শাহির শারজা জেলা এবং দিব্বা অল হিসন মিউনিসিপ্যালিটির তরফ থেকে।

শারজা জেলা এবং গ্রাম বিষয়ক দফতরের সহযোগিতায় ৪০০টি পাত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেগুলোতে পাখিদের জন্য পানীয় জল রাখা হবে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হবে জল ভর্তি পাত্র। পাখিরা প্রয়োজনে যখন তখন সেই জল পান করতে পারবে। পাত্রগুলির উপর নজরদারি রাখারও ব্যবস্থা করা হয়েছে দিব্বা মিউনিসিপ্যালিটির উপর। পাত্র নষ্ট হলে বা জলের পরিমান কমে গেলে তাতে আবার জলের রাখার ব্যবস্থা করা হবে। এই পাত্রগুলি প্রত্যেকটিই প্লাস্টিকের করা হয়েছে যাতে পাখীদের জল খেতে কোন অসুবিধা না হয়।