Date : 2024-04-26

আইন মেনে জমি অধিগ্রহণ হয়নি আদালতে স্বীকারোক্তি রাজ্যের,দুমাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার:- জমি অধিগ্রহণ কোন আইনে স্পষ্ট নয় জমিদাতাদের। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ করার জন্য জমি নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে এবার জট পুরুলিয়ায়। পুরুলিয়ার আড়শা থানার কাঁটাডি মৌজার সমীর মন্ডলের বসত বাড়ির জমির একাংশ রাজ্য অধিগ্রহণ করেছিল জাতীয় সড়ক বিভাগের জন্য। অথচ তার দখল নেওয়ার সময় ওই জমিতে থাকা বাড়ির প্রায় পুরোটাই ভেঙে দেয় জাতীয় সড়ক বিভাগ। একইসঙ্গে ওই জেলাতেই বলরামপুর মৌজার অংশুমান কুণ্ডুর পেট্রোল পাম্প সমেত জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল রাস্তার জন্য। অথচ দেখা যাচ্ছে তাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ চাষের জমির দাম মেটানো হয়েছে। পৃথক দু’টি মামলাতেই এই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকারের ২০১৩ সালের আইন মেনে জমি অধিগ্রহণ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ তাদের ওই জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতিপূরণ সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কোন আইনে দেওয়া হচ্ছে, সে ব্যাপারে কোনো নির্দেশ বা অ্যাওয়ার্ডের নথি দেওয়া হয়নি। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ দু’টি মামলাতেই রাজ্য সরকারকে দু’মাসের মধ্যে ওই অ্যাওয়ার্ড বা নির্দেশ জমিদাতাদের দেওয়ার রায় দিয়েছেন। একইসঙ্গে জমিদাতাদের অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত যে অভিযোগ সেগুলি খতিয়ে দেখে দুমাসের মধ্যে সমস্যার নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
দুটি মামলারই সরকারি আইনজীবী চণ্ডী চরণ দে অধিগ্রহণ সংক্রান্ত ত্রুটির অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। মামলাকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস আদালতে জানান হাইকোর্টের এই রায় রাজ্যের জমি অধিগ্রহণের ইতিহাসে একটা নজির তৈরি করলো। কারণ প্রথমত এতদিন জমি অধিগ্রহণ করা হলেও কোন আইনে সেই অধিগ্রহণ হচ্ছে তা জানানো হতো না। এই প্রথম কেন্দ্রের ২০১৩ সালের আইনে তা অধিগ্রহণ করার কথা প্রকাশ্যে জানালো রাজ্য। পাশাপাশি এদিন হাইকোর্ট, ক্ষতিপূরণ ও আনুষাঙ্গিক সুযোগসুবিধা সংক্রান্ত যে নথি জমিদাতাদের দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, তাও আগামী দিনে রাজ্যে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জট খোলার ক্ষেত্রে একটা বড় সমাধানের পথ হতে পারে।