Date : 2024-04-26

নাটকের মাধ্যমে ছোটোদের বইমুখী করার অভিনব উদ্যোগ।

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : বর্তমানে আমাদের পারিবারিক জীবনের জায়গাগুলো ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। একটা সমশ ছিল যখন ছোটদের সঙ্গে বড়রা গল্প করত। ছোটদের হাতে দেখা যেত গোপালভাঁড়, সুকুমার রায়ের আবোল তাবোল এর মত অসাধারণ সব বই। কিন্তু তা যেন আজ অতীত হয়ে উঠছে। তার জায়গায় স্থান করে নিচ্ছে স্মার্টফোন। এখন এই মুঠোফোনের অভ্যেস ছোটদের মধ্যেও কেড়ে নিচ্ছে বই পড়ার স্বাভাবিক অভ্যেসটুকুকে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক বলেই মত শিক্ষক মহলের একাংশের।

শুধু স্মার্ট ফোনের ব্যবহার নয়। পরিবর্তন ঘটেছে মানুষের জীবনধারায়। একটা শিশুর সকালে ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত বাঁধা থাকে সময়সীমা। ঘুম চোখে ব্রাশ হাতে দিয়ে শুরু হয় একটি শিশুর দিন। তারপর কোনও রকমে প্রাতরা সেরে স্কুলের জন্য তৈরি এবং বিরাট এক ব্যাগের বোঝা নিয়ে স্কুলে যাওয়া। রুটিন মাফিক প্রতিযোগিতামূলক জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গল্পের বই পড়ার আগ্রহ।

ছোটদের মধ্যে গল্পের বই পড়ার আগ্রহ জাগাতে উদ্যোগী হয়েছেন এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে আবল তাবল, গোপাল ভাঁড়ের মত গল্পগুলো। ছোটোরাই গল্পের নাটকের মাধ্যমে নিজেদের ইচ্ছেগুলোকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। নাটকের মাধ্যমে বইপড়ার অভ্যাসটা ছোটোদের মধ্যে আরও বেশি পরিমানে বাড়াতেই এই উদ্যোগ বলে মত উদ্যোক্তাদের।

করোনা আবহে প্রায় বছর দুই বন্ধ ছিল স্কুল। অফলাইনের পরিবর্তে অনলাইনে শুরু হয়েছিল ক্লাস। যার ফলে ছোটোদের মধ্যে মোবাইলের প্রতি আশক্তি আরও বেশি পরিমানে বেড়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের। সেই মোবাইল নেশা কাটানোর অন্যতম উপায় ছোটোদের বইমুখী করা। নাটক তার অন্যতম মাধ্যম বলেও মত উদ্যোক্তাদের।