সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : স্বামী কোতুলপুরের বিধায়ক।স্ত্রী বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের নার্স। নিজের স্ত্রীর বদলি আটকাতে দলবদল করেছেন বিধায়ক। বাঁকুড়ার কোতুলপুরে দাঁড়িয়ে এমনই অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
২০২১ সালে বাঁকুড়ার কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন হরকালি প্রতিহার। ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সেই ঘটনার একমাসের মাথায় দলীয় বিধায়কের দল ছাড়া নিয়ে মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন কোতুলপুরে এক জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এখানকার যিনি বিধায়ক তিনি তাঁর স্ত্রীর বদলি আটকাতেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। শুভেন্দু আরও বলেন, গত দেড় বছরে হরকালি প্রতিহার তাঁকে (শুভেন্দু অধিকারী) অনেকবার বলেছেন যে বাঁকুড়া তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা, তালডাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী তাঁকে (হরকালি প্রতিহার) স্ত্রীকে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। সেই বদলি আটকাতেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন হরকালি।
এই বিষয়ে তালডাংড়ার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এমন লোককে ওরা বিধায়ক করেছে ! এই যদি অজুহাত হয় তাহলে তো ওদের কেউ থাকবে না। অনেকেরই তো বউ, ভাই, বাবা চাকরি করে। যদি বদলির ভয়েই দল বদল করে তাহলে ওদের দলে কেউই থাকবে না।” এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, হরকালি প্রতিহারের বাজারে অনেক টাকা ধার ছিলো।
তিনি (শুভেন্দু অধিকারী) হরকালির হয়ে সেই টাকা মিটিয়েছেন। টাকার অঙ্ক প্রায় ছয় লক্ষ। তিন দফায় দুই লক্ষ করে মোট ছয় লক্ষ টাকা তিনিই (শুভেন্দু) মিটিয়েছেন।
এই দুই অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে হরকালি প্রতিহার জানান, “সব ভিত্তিহীন, মিথ্যা অভিযোগ। উনি বিরোধী দলনেতা, তাঁকে আমি সম্মান করেই বলছি আগে উনি রাজ্যের মানুষের একশো দিনের বকেয়া টাকা ফেরৎ নিয়ে আসুন, আবাস যোজনার টাকা আনার ব্যবস্থা করুন। উনিই তো এগুলো আটকে রাখার ব্যবস্থা করেছেন বলে দাবি করেছেন। বিরোধী দলনেতা হিসাবে রাজ্যের মানুষের কাজ করুন।”