ওয়েব ডেস্ক:- ৯ মাসের লড়াইয়ের পর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করতে পেরেছিল ভারত-বাংলাদেশের যৌথ সেনাবাহিনী। ১৯৭১ সালের ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিল ভারত বাংলাদেশ যৌথবাহিনী। পশ্চিম পাকিস্তানের হাত থেকে নিজেদের মুক্ত করে সতন্ত্র বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসাবে মুক্তি লাভ করে। এ উপলক্ষে প্রতি বছর বাংলাদেশে দিবসটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়। ১৬ ডিসেম্বর ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা ঘটে। জাতীয় প্যারেড স্কোয়াডে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বাহিনীর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত থাকেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান। প্রতিবছর এই কুচকাওয়াজ দেখার জন্য প্রচুর সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। এবার বাংলাদেশের ৪৯ তম বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের শরিক ভারতবর্ষ। তাই বাংলাদেশের পাশাপাশি এই শহরেও পালন করা হল বিজয় দিবস। সোমবার কলকাতায় বাংলাদেশ হাই-কমিশনের দফতরে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে সাংসদ শাজাহান খানের নেতৃত্বে ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা, ছয়জন প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭২ জনের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। এদিকে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের দফতরে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
সকালে উপহাইকমিশন চত্বরে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।পতাকা উত্তোলন করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান। এরপর সেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বার্তা পাঠ করে শোনানো হয়। স্মৃতিবাহী বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু কক্ষের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ উপহাই-কমিশনের দফতরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলবে।